পেমেন্ট টার্মস কি? আমদানি, রপ্তানি ও ইনডেন্টিং ব্যবসায় এই টার্মসগুলো কিভাবে কাজ করে?

পেমেন্ট টার্মস, শব্দ দুটি দেখেই বুঝতে পারছেন টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রক্রিয়া। জ্বী ঠিকই বুঝেছেন। আই সি সি, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের সবশেষ সংস্কার অনুযায়ী বর্তমানে পাঁচ ধরনের পেমেন্টের উপর সারা পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যগুলো হয়ে থাকে।

 

পেমেন্ট টার্মসগুলো হলোঃ 

01. টি টি ইন এডভান্সড

02. এল সি এ্যাট ‍সাইট

03. ডি সি বা ডকুমেন্টারী কালেকশান

04. ওপেন একাউন্ট

05. অন কনসাইনমেন্ট 

 

 

টি টি ইন এডভান্সডঃ টি টি সম্পর্কে আপনাদের সকলের ই জানা আছে যার ফুল ফর্ম হলো টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার বা টেলেক্স ট্রান্সফার। এই পদ্ধতিতে ব্যবসা করার নিয়ম হলো এ্যাস এ বায়ার আপনাকে আগেই পণ্যের মূল্য পেমেন্ট করে দিতে হবে। দেন আপনার সাপ্লায়ার আপনাকে প্রোডাক্ট পাঠাবে। এই সিস্টেম টা সাপ্লায়ারের জন্য সেইফ হলোও বায়ারের জন্য রিস্কি হয়ে যায়। তাই নতুন অবস্থায় এই ধরনের টার্মস এ ব্যবসা করার ক্ষেত্রে খুবই কেয়ারফুল। নতুবা বিপদে পড়ে আমাকে দোষ দিলে আমি কিন্তু দায়িত্ব নিবো না। তাই আগেই সতর্ক করলাম। 

 

এল সি এ্যাট ‍সাইটঃ এল সি এ্যাট ‍সাইট এই পেমেন্ট সিস্টেম টা খুবই সেইফ ফর বায়ার এন্ড সাপ্লায়ার। যদিও এল সি রিলেটেড কিছু খরচ থাকে, তবুও এটা দুই পক্ষকে নিরাপদ রাখে। এই পেমেন্ট সিস্টেম টা হলো এ্যাস এ বায়ার অর্ডার অনুযায়ী আপনাকে আপনার ব্যাংক থেকে এলসি ওপেন করতে হবে। আপনার এলসি অনুযায়ী সাপ্লায়ার আপনার প্রোডাক্ট শিপমেন্ট করে দিবে। সকল প্রসেস হওয়ার পর আপনি যখন আপনার প্রোডাক্ট বুঝে পাবেন। তারপর আপনার ব্যাংক আপনার সাপ্লায়ারকে পেমেন্ট করবে। এতে সুবিধা হলো ব্যাংক দুই পক্ষের হয়ে কাজ করে এবং পুরো ব্যাপারটি মনিটরিং করে। তাতে করে কারো ফ্রড করার ‍সুযোগ থাকে না। 

 

এই ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের ফ্রি কোর্সটি দেখতে পারেন।

 

ডি সি বা ডকুমেন্টারী কালেকশানঃ ডকুমেন্টারী কালেকশান আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে।

ক. ডি পি – ডকুমেন্টস এগিনেস্ট পেমেন্ট।

খ. ডি এ - ডকুমেন্টস এগিনেস্ট একসেপটেন্স।  

 

ডকুমেন্টস এগিনেস্ট পেমেন্টঃ এ পেমেন্ট সিস্টেমে সাপ্লায়ার যখন প্রোডাক্ট পাঠাবে ঠিক তখন ই আপনাকে পেমেন্ট করে দিতে হবে। কারণ ঐ পেমেন্টের এগিনেস্টেই আপনি ডকুমেন্টস পাবেন। এই পেমেন্ট টার্মসকে অনেকে সি এ ডি ও বলে থাকেন, ক্যাশ এগিনেস্ট ডকুমেন্টস। 

 

ডকুমেন্টস এগিনেস্ট একসেপটেন্সঃ এই পেমেন্ট সিস্টেম টা অনেকটা বাকির মত। এখানে আপনি একটা নির্দিষ্ট সময় বাকি রেখে প্রোডাক্টটি ক্লিয়ার করতে পারবেন কাস্টমস থেকে। সেক্ষেত্রে বায়ার এবং সাপ্লায়ার দুজনের ই টাইমের ব্যাপারে একসেপটেন্স দিতে হবে। 

 

ওপেন একাউন্টঃ এই পেমেন্ট সিস্টেম টার মাধ্যমে এ্যাস এ বায়ার আপনি বাকি রাখতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আগেই আপনার সেলারের সাথে নেগোসিয়েশান করে নিতে হবে এই বাকি টা কতদিনের হবে। এটা কি ৩০ দিন হবে নাকি ৬০ দিন হবে না ৯০ দিন হবে। চাইলে আরো বেশিও হতে পারে। এটা দুই পক্ষের মিউচুয়াল আন্ডারসটেন্ডিং এর উপর নির্ভর করে। 

 

অন কনসাইনমেন্টঃ এই পেমেন্ট সিস্টেম টা ও পুরো টা বাকি সিস্টেম। একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন লোকাল মার্কেটেও এই সিস্টেম টা চলে। বিশেষ করে নতুন প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে দেখবেন। কোন ধরনের নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আসলে কোম্পানির লোক এসে দোকানে প্রোডাক্ট রেখে যায়। শর্ত থাকে বিক্রি করে তারপর টাকা দিবেন। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটেও সেইম। এই পেমেন্ট সিস্টেম টার কাজই হলো প্রোডাক্ট বিক্রি করে তারপর পেমেন্ট করবেন।

 

এই পেমেন্ট টার্মসগুলো সম্পর্কে আরো গভীরভাবে জানতে আমাদের ফ্রি কোর্সটি দেখতে পারেন।

2024 Learners Lamp

গোপনীয়তা নীতি ব্যবহারের শর্তাবলী