ব্যবসা-বাণিজ্যে একটা প্রবাদ আছে, কিনতে লাভ না হলে বেচতে লাভ হয় না। কথা টা কি আসলেই সত্য? হ্যাঁ সত্য! টেনস এ ফেললে এটা প্রেজেন্ট ইনডিফিনিট এ যাবে।
ব্যবসায় লাভ করতে হয় আসলে ক্রয় করার সময়, বিক্রয় করার সময় নয়। বিক্রয় করার সময় যেটা পাবেন সেটা হলো মুনাফা।
আসুন এবার একটু দেখি এই লাভ টা কিভাবে করতে হয়? লাভ আপনি তখনই করতে পারবেন। যখন আপনি ভালো নেগোসিয়েশান করতে পারবেন।
এটা সবসময় সব বাণিজ্যের জন্য প্রযোজ্য। আমদানি, রপ্তানি, ইনডেন্টিং ব্যবসার ক্ষেত্রেও একই।
এখন আমাদের বুঝতে হবে কিভাবে নেগোসিয়েশান করতে হবে? কোন কোন পয়েন্টে নেগোসিয়েশান করতে হবে? পয়েন্টগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
০১। টার্গেট প্রাইজঃ প্রত্যেকটা প্রোডাক্টের ই একটা মার্কেট প্রাইজ থাকে। সো মার্কেট প্রাইজ কে মাথায় রেখেই আপনাকে টার্গেট প্রাইজ সেট করতে হবে। অর্থাৎ যে প্রাইজে আপনি সাপ্লায়ারের কাছ থেকে কিনতে চাচ্ছেন।
০২। প্রোডাক্ট স্পেসিফিকেশানঃ অর্ডার কনফার্মেশনের আগেই আপনাকে প্রোডাক্টের স্ট্যান্ডার্ড স্পেসিফিকেশান নিশ্চিত করতে হবে। স্পেসিফিকেশানে যদি আপনার স্পেশাল কোন রিকয়ারমেন্ট থাকে, তাহলে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
০৩। ফ্রেইট কস্টঃ এয়ার/রোড/সী যে পথেই আসুক না কেন, আপনার পণ্যের ফ্রেইট কস্ট নিশ্চিত করতে হবে।
০৪। কোয়ান্টিটিঃ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোয়ান্টিটি কমে গেলে প্রাইজ বেড়ে যায় আবার কোয়ান্টিটি বাড়লে প্রাইজ কিছুটা কমে। সো এখানে কিছু টেকনিক এপ্লাই করে প্রাইজ কম রাখার চেষ্টা করতে হবে।
০৫। পেমেন্ট টার্মসঃ কোন ধরনের পেমেন্ট টার্মস এর উপর কাজ করবেন। সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পেমেন্ট টার্মস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ফ্রি কোর্স টি দেখতে পারেন।
০৬। শিপিং টার্মসঃ কোন ধরনের টার্মস এ আপনার পণ্যটি শিপমেন্ট হবে, তা নিশ্চিত করতে হবে। শিপিং টার্মস সম্পর্কে ও বিস্তারিত জানতে আমাদের ফ্রি কোর্স টি দেখতে পারেন।
০৭। নেট ওয়েট এবং গ্রস ওয়েটঃ নেট ওয়েট এবং গ্রস ওয়েট আপনাকে কনফার্ম করতে হবে। কারণ এটার উপর আপনার ফ্রেইট কস্ট আসবে।
০৮। ম্যানুফেকচারার এবং সাপ্লায়ার নেইম সেপারেটলীঃ যদি উৎপাদককারী এবং সরবরাহকারী আলাদা হয়, তাহলে তাদের আলাদাভাবেই উল্লেখ করতে হবে।
০৯। এইচ এস কোডঃ অবশ্যই আপনাকে এইচ এস কোড কনফার্ম করতে হবে। কারণ এটার উপর আপনাকে সরকারী শুল্ক প্রদান করতে হবে।
১০। কান্ট্রি অব অরিজিনঃ প্রোডাক্ট টা কোথায় উৎপাদন করা হয়েছে। তা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। কারণ এটা আপনাকে পি আই তে উল্লেখ করতে হবে।
১১। পোর্ট অব লোডিংঃ এটাও নিশ্চিত করতে হবে, কেননা এটাও পি আই তে উল্লেখ করতে হবে।
১২। ইন্সফেকশনঃ যদি ইন্সফেকশন করাতে চান, তাহলে সেটা আগে থেকেই নিশ্চিত করে নিতে হবে।
১৩। সেম্পলঃ সেম্পল টেস্ট করার প্রয়োজন মনে করলে, অর্ডার নিশ্চিত করার আগে সেম্পল টেস্ট করে নিবেন। কিভাবে প্রফেশনাল ওয়েতে সেম্পল চাইবেন? তা আমাদের কোর্সে দেওয়া আছে।
১৪। শিপমেন্ট টাইমঃ এলসি পাওয়ার কতদিনের ভিতর শিপমেন্ট করবে। এটা আগে থেকেই নিশ্চিত হয়ে নিবেন। নতুবা পরবর্তীতে প্রবলেমে পড়বেন।
১৫। শিপিং ডকুমেন্টসঃ শিপিং ডকুমেন্টস এর ব্যাপারে আগে থেকেই নিশ্চিত হতে হবে। আপনার প্রয়োজনীয় সকল শিপিং ডকুমেন্টস সে দিতে পারছে কিনা।
এছাড়াও বেশ কিছু ব্যাপার নিয়ে নেগোসিয়শান করতে হবে। যা আমরা আমাদের কোর্সে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো সিচুয়েশান বুঝেই আপনাকে হ্যান্ডেল করতে হবে। কখন কি করতে হবে সেটা সময় এবং পরিস্থিতি বলে দিবে।